নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট | 124 বার পঠিত
তাঁর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সময় থেকেই তাঁর অনুগামীরা তাঁকেই ‘মুখ’ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে রাহুল গান্ধী বারবার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইটা মতাদর্শগত। সেখানে ‘মুখ’ হিসাবে তিনি একা নন। এটা সমগ্র দেশের লড়াই। সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। কিন্তু লোকসভা ভোটের সলতে পাকানো যখন শুরু হয়ে গিয়েছে, পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে যখন অনেকেই দেশের ভোটের ‘সেমিফাইনাল’ হিসাবে দেখছেন, তখন রাহুলের একটি বক্তব্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। যে বক্তব্য শুনলে মনে হওয়ার অবকাশ থাকে যে, বিজেপির বিরোধী লড়াইয়ে নিজেকেই ‘মুখ’ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন রাহুল।
তেলঙ্গানার ভোট প্রচারে গিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘গোটা দেশ জানে, বিজেপির বিরুদ্ধে যদি কেউ লড়াই করে, ওদের মোকাবিলা করতে পারে, তা হলে তার নাম রাহুল গান্ধী।’’ ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ এ-ও বলেন, ‘‘বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াই শুধু রাজনৈতিক লড়াই নয়। এটা আমার রক্ত আর ডিএনএর লড়াই।’’
প্রসঙ্গত, চার মাস আগে কর্নাটক বিধানসভার ভোটেও রাহুল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইকে ‘ঘৃণার বিরুদ্ধে ভালবাসার দোকান খোলার লড়াই’ হিসাবে দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণের আর এক রাজ্যের ভোটে যেন লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের সমীকরণ দেখাতে চাইলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। রাহুলের কথায়, ‘‘আমি বিজেপির বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করছি বলেই আমার বিরুদ্ধে ওরা ২৫টা মামলা দিয়ে রেখেছে। আমার সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়েছিল। কারণ ওরা (পড়ুন বিজেপি) জানে, রাহুল গান্ধী মাথা নোয়াবে না।’’
তেলঙ্গানার শাসকদল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও দলের প্রধান। তিনি দাবি করেন, তাঁর দল বিজেপি-বিরোধী। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’য় সামিল হয়নি বিআরএস। কারণ, সেখানে কংগ্রেস রয়েছে। আবার কংগ্রেসের দাবি, কেসিআরদের বিজেপি বিরোধিতা আসলে ‘মুখোশ’। তারা তলায় তলায় বিজেপিকেই সাহায্য করতে চায়। রাহুল বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ২৫টা মামলা। কিন্তু তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে ইডি, সিবিআই ডাকে না!’’ যদিও কেসিআরের মেয়ে কবিতা রাওকে দিল্লির মদ কেলেঙ্কারির তদন্ত সূত্রে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। তবে ওই এক বারই।
Posted ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
bbcjournal.com | rifat