নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ২০২১-২২ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তিকৃত বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের ৬ষ্ঠ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশ ও এক আনন্দঘন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিছ অডিটোরিয়ামের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর সেমিনার কক্ষে আয়োজিত একিনা শাকী এশার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ও নোবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. দিব্যদ্যুতি সরকার।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন বিএমএস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহিন কাদির ভূইয়া, সুপদ কুমার ঘোষ, আইরিন আক্তার, শাহনেওয়াজ, কামরুন নাহার, অঞ্জনকুমার নাথ ও প্রভাষক দীপু কুমার, মো. এনায়েত হোসেন, তাসনিম আলম ও সহকারী রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম সহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় বিভাগের জ্যেষ্ঠরা। এরপর বিভাগের শিক্ষক ও জ্যেষ্ঠরা নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিভিন্ন গুরুত্ব তুলে ধরেন। নবীন শিক্ষার্থীরা কিভাবে বাস্তব জীবনে সফলতা অর্জন করবে এসব বিষয়েও আলোকপাত করেন শিক্ষকরা।
নবীন শিক্ষার্থী সুমাইয়া সানজিদা পুষ্প তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে আমি সত্যিই নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। বিএমএস এটি শুধু একটি ডিপার্টমেন্ট নয় বরং এটি একটি পরিবার। ডিপার্টমেন্ট এর শিক্ষকদের আন্তরিক এবং বন্ধুসুলভ ব্যবহার আমাদের বিমোহিত করেছে। আমাদের প্রতি সিনিয়র দের বন্ধু সুলভ আচরন আমাদের মুগ্ধ করেছে।
আরেক শিক্ষার্থী শরীফ উদ্দিন বলেন, প্রতিটি ব্যক্তিরই কিছু স্বপ্ন থাকে। স্বপ্নহীন মানুষ পাওয়া দুর্লভ। অনুরূপভাবে, আমার জীবনেও কিছু স্বপ্ন ছিল। তন্মধ্যে অন্যতম হল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা। আমার ইচ্ছা আমার প্রিয় বাংলাদেশ কিভাবে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করল সে বিষয়ে জানা এবং দেশের লাল- সবুজের পতাকা কিভাবে বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরা যায় সে বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান রাখা। আশা করি
শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও সঠিক গাইডলাইনের মাধ্যমে লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
Posted ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
bbcjournal.com | rifat