ড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৯টা। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটকে থামল সাদা রঙের একটি এক্স-ট্রায়াল মডেলের নিশান বিলাসবহুল গাড়ি; যার নম্বর ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-০১০৫। এ গাড়িটিতে কারাফটকে আসেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণির কয়েকজন আত্মীয় ও তার আইনজীবী।
কিছু সময় পর ৯টা ৩৭ মিনিটে গাড়িটি কারাফটক থেকে বেরিয়ে আসে ২৬ দিনের বন্দীদশা থেকে জামিনে মুক্ত পরীমণিকে নিয়ে। তখন রাজকীয় ভঙ্গিতে গাড়ির সানরোফ খুলে দাঁড়িয়ে উপস্থিত সাংবাদিকসহ লোকজনের উদ্দেশে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো হাত নাড়েন তিনি। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট, মাথায় সাদা স্কার্প ও চোখে সানগ্লাস। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। তবে কয়েকজনের সঙ্গে হাত মেলান। এ সময় পরীমণির হাতে মেহেদি দিয়ে লাল রঙে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ; মি বিচ’। বিষয়টি নানা আলোচনার জন্ম দেয়। এই লেখার উদ্দেশ্য কী? কাকে, কেন, কী উদ্দেশ্যে তিনি এসব লিখেছেন তা নিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। এসব বিষয়েও পরীমণি কোনো কথা বলেননি। তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, ‘ঢাকার বাসায় ফিরে বিশ্রাম নেবেন পরীমণি। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।’
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে গ্রেফতার করে র্যাব। তার বাসা থেকে জব্দ করা হয় বেশ কিছু মদের বোতল। ওই ঘটনায় র্যাব বনানী থানায় মামলা করে। মামলাটির তদন্তভার পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সংস্থাটি পরীমণিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
কয়েক দফা জামিন আবেদন নামঞ্জুর হওয়ার পর গত মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনের খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালেই গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে সংবাদকর্মী ও উৎসুক মানুষ ভিড় করেন। তবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরীমণির জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছায়নি। পরে গতকাল সকালে কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) সৈয়দ শাহ শরীফ জানান, আদালত থেকে পরীমণির জামিনের কাগজপত্র মঙ্গলবার রাতে কারাগারে এসে পৌঁছায়। বুধবার সকাল ৯টা ২১ মিনিটে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর কাছে পরীমণিকে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় পরীমণির স্বজনরা কারাফটকে উপস্থিত ছিলেন। কারা সূত্র জানায়, পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে পরিচিত রজনীগন্ধা ভবনে রাখা হয়। কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পরীমণির সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।
বের হওয়ার পর পরীমণির হাতে মেহেদি দিয়ে লেখাটি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সরগরম আলোচনা হয়। এ বিষয়ে উপস্থাপক রুম্মান রশিদ খান লিখেছেন, ‘দুধের মাছি/সুসময়ের বন্ধু যারা; তাদের ভালোবাসার আর দরকার নেই পরীর।’ মডেল হৃদি লিখেছেন, ‘যারা পরীমণির জন্মদিনে ফ্রিতে গিয়ে ফ্রি ফ্রি খেয়ে এসেছেন, আর সেলফি তুলে গেছেন- তাদের বোঝানো হয়েছে এই চিহ্নে।’ তবে পরীমণি নিজেই পরে এর ব্যাখ্যা দেন। তিনি জানান, এটা তিনি ‘বিচ’দের উদ্দেশ্যেই বলেছেন। পরীমণি
Posted ৬:৩৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১
bbcjournal.com | rifat