সংগৃহীত
ধানের ভরা মৌসুমে নওগাঁর মোকামে বেড়েছে চালের দাম। প্রকারভেদে কেজিপ্রতি ২-৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। হঠাৎ চালের দাম বাড়ার জন্য ব্যবসায়ীরা দুষছেন মিলারদের। আর মিলাররা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা বাড়ায় দাম বেড়েছে। তাছাড়া ধানের দাম বাড়তি থাকায় চালে তা প্রভাব পড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের আড়তে হঠাৎ চালের দাম প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর বাড়তি দামের আঁচ লাগছে খুচরা বাজারেও। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এদিকে করোনার থাবায় দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ যখন কর্মহীন, তখন নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে নিম্নআয়ের মানুষ দিশাহারা। নিম্নআয়ের মানুষ তাদের আয়ের বড় অংশ ব্যয় করে ভোগ্যপণ্য, বিশেষত চাল কেনার পেছনে। এই বাস্তবতায় চালের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দেশে চালের উৎপাদন, সরবরাহ, আমদানি ও মজুদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও দাম বেড়েই চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালের বাজারের এ অস্থিরতার নেপথ্যে মিলার ও অসাধু ব্যবসায়ীরা কলকাঠি নাড়ছেন। চালের বাজারের অস্থিরতার পেছনে এবারও মিলারদের কারসাজি থাকতে পারে। তাদের কারসাজির প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। সঠিকভাবে বাজার মনিটর করা জরুরি হয়ে পড়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় চালের বাজারে অস্থিরতা থামছেই না। হু হু করে বাড়ছে দাম। কুষ্টিয়ার বাজারে এখন এক সপ্তাহ পর পর বাড়ছে চালের দাম। আর গত এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কুষ্টিয়ার চালের বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। গত সপ্তাহে তারা মিলগেট থেকে যে দামে চাল কিনেছেন পরের সপ্তাহে আর সেই দামে কিনতে পারছেন না। সর্বনিম্ন কেজিতে ৫০ পয়সা বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। এক মাস ধরে কুষ্টিয়ার বাজারে চালের দাম বাড়ার এই খেলা চলছে। ক্রেতাসাধারণের অভিযোগ চালের দাম কয়েক দফা বাড়লেও তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোনো উদ্যোগ নেই। আর এই সুযোগে মিলাররা সিন্ডিকেট করে তাদের খেয়াল-খুশি মতো চালের দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন। গতকাল সকালে সরেজমিন কুষ্টিয়ার পৌর বাজার ও বড় বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। আর গত এক মাসে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। গত জুন মাসের শুরুতে যে মিনিকেট (সরু চিকন চাল) ৫৬ টাকা কেজি ছিল সেই চাল এখন ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাজললতা চাল আগে যেখানে ৫০ টাকা কেজি ছিল এখন তা বেড়ে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটাশ চাল ৪৬ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাসমতি চাল ৬৪ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর নাজির শাইল চাল আগে যেখানে ৫৪ টাকা ছিল এখন সেখানে ৫৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Posted ২:১৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৭ জুলাই ২০২১
bbcjournal.com | rifat